কামিনী রায়
জন্ম | ১৮৬৪ |
মৃত্যু | ১৯৩৩ |
জন্মস্থান | পূর্ববঙ্গের বাখরগঞ্জে বাসণ্ডাগ্রামে |
ছোটো ছোটো কবিতা ও দীর্ঘ কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট কবি হিসাবে স্থান লাভ করেছেন। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করে। কর্মজীবনে তিনি বেথুন কলেজে অধ্যাপনা ও নারী শ্রমিকদের উন্নতির জন্য সমাজসেবায় নিযুক্ত ছিলেন।
তাঁর সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম আলো ও ছায়া (১৮৮৯)। অন্যান্য রচনার মধ্যে মহাশ্বেতা, পুণ্ডরীক, পৌরাণিকী, দীপ ও ধূপ, নির্মাল্য, মাল্য ও নির্মাল্য প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য।
'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় যে স্মৃতিচিহ্ন চিরদিন অক্ষয় হয়ে আছে তার কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতায় বলীয়ান অর্থশালী ব্যক্তিদের বিশাল স্মৃতিসৌধগুলি সময়ের সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষ তাদের কথা ভুলে যায়। কিন্তু মানুষের ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে আছে তাঁদেরই নাম, যুগে যুগে যাঁরা দীন ও ধনহীন হয়েও মানবপ্রেমের সাধনা করেছেন ও ভালোবাসা দিয়েছেন মানুষকে।
১৪ পঞ্চির কবিতাটি একটি সনেট। এর প্রথম ৮ পঙ্ক্তি ও শেষ ৬ পঙ্ক্তিতে অন্ত্যমিলের বৈচিত্র্য আছে। প্রথম ৮ পঙ্ক্তিতে মিলের বিন্যাস: ১-৪; ২-৩, ৫, ৮; ৬-৭; শেষ ৬ পঞ্চির বিন্যাস: ৯-১২, ১০-১৩, ১১-১৪।
### সুখ কবিতা কামিনী রায়