এখানে আপনি পাবেন বাংলা কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক, উপন্যাস, গল্প, রচনা ও ব্যকরণ। Main Blog

শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা

শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা

ভূমিকা:

একবিংশ শতাব্দীর এই জ্ঞানভিত্তিক সমাজে শিক্ষা মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রথাগত শ্রেণিকক্ষের বাইরে জ্ঞানার্জনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে গণমাধ্যম। টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম – এই সবকিছুই সমষ্টিগতভাবে গণমাধ্যম নামে পরিচিত, যা মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তথ্য ও জ্ঞান পৌঁছে দিতে সক্ষম। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা আজ অনস্বীকার্য। শিক্ষা বিষয়ক তথ্য প্রচার, নতুন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা, এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার আগ্রহ সৃষ্টিতে গণমাধ্যম এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। এই প্রবন্ধে, ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কিত ও শিক্ষা বিষয়ক ক্ষেত্রগুলিতে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভূমিকা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।


শিক্ষা ও গণমাধ্যমের আন্তঃসম্পর্ক:

শিক্ষা হলো জ্ঞান অর্জন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মূল্যবোধ গঠনের একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, গণমাধ্যম হলো তথ্য ও ধারণা বিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই দুটি ভিন্ন ক্ষেত্র তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করলেও, একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। গণমাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সীমানা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীদের কাছে জ্ঞানকে আরও সহজলভ্য করে তুলেছে। এটি শুধু প্রথাগত শিক্ষাকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং অপ্রথাগত ও জীবনব্যাপী শিক্ষার ধারণাকেও শক্তিশালী করে। গণমাধ্যম একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে, যা শ্রেণিকক্ষের বাইরের বিশাল জ্ঞানভাণ্ডারকে শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসে।


শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা (ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা বিষয়ক):

গণমাধ্যমের বিভিন্ন ধরন শিক্ষা বিস্তারে বহুমুখী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে:

ক. তথ্য ও জ্ঞানের সহজলভ্যতা:

গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য ও জ্ঞানের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার খুলে দিয়েছে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং অনলাইন পোর্টালগুলো বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কার, ইতিহাস, ভূগোল এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক তথ্য দ্রুততম সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্ব সম্পর্কে একটি বিস্তৃত ধারণা লাভ করতে পারে। ডকুমেন্টারি, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান এবং অনলাইন বিশ্বকোষগুলি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে বিশেষভাবে সহায়ক।

খ. দূরশিক্ষা ও অনলাইন শিক্ষার প্রসারে:

বর্তমান সময়ে দূরশিক্ষা এবং অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতির প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ইন্টারনেট এবং টেলিভিশন শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল ক্লাস, অনলাইন টিউটোরিয়াল, MOOCs (Massive Open Online Courses) এবং শিক্ষামূলক ওয়েবিনারগুলিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়, যখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সম্ভব ছিল না, তখন গণমাধ্যমই শিক্ষার ধারাকে সচল রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।

গ. প্রথাগত শিক্ষাকে সমৃদ্ধকরণে:

গণমাধ্যম প্রথাগত শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তোলে। শিক্ষকরা গণমাধ্যমের সহায়তায় বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও, অডিও ক্লিপ, ইন্টারেক্টিভ সিমুলেশন এবং তথ্যচিত্র ব্যবহার করে জটিল বিষয়গুলোকে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা পেতে পারে টেলিভিশন বা ইউটিউবের শিক্ষামূলক চ্যানেলগুলো থেকে। এটি শিক্ষার্থীদের কৌতূহল বাড়ায় এবং শেখার প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করে তোলে।

ঘ. সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক শিক্ষায়:

গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক, পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন প্রচারমূলক অনুষ্ঠান, বিতর্ক এবং আলোচনা সভা শিক্ষার্থীদেরকে বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, পরিবেশ দূষণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যবিধি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে অবগত করে তোলে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানই অর্জন করে না, বরং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক শিক্ষাও লাভ করে।

ঙ. অনুপ্রেরণা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে:

গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন কিছু শেখার এবং আবিষ্কার করার অনুপ্রেরণা যোগায়। সফল ব্যক্তিদের জীবনী, বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের গল্প, বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতাগুলো শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য উৎসাহিত করে। এডুটেইনমেন্ট (Edutainment) বা বিনোদনমূলক শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানগুলো খেলার ছলে বা কৌতূহল উদ্দীপনার মাধ্যমে কঠিন বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে, যা তাদের শেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে।

চ. দক্ষতা উন্নয়ন ও ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদানে:

গণমাধ্যম বিভিন্ন ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কোডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভাষা শিক্ষা, রান্না, সেলাই, বা যেকোনো হাতের কাজের টিউটোরিয়াল সহজেই পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা তাদের আগ্রহ অনুযায়ী এই টিউটোরিয়ালগুলো দেখে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

ছ. ভাষা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে:

গণমাধ্যম বিদেশী ভাষা শেখার জন্য একটি চমৎকার মাধ্যম। বিদেশী চলচ্চিত্র, গান, সংবাদ এবং পডকাস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন ভাষা শুনতে ও বুঝতে পারে এবং তাদের উচ্চারণ দক্ষতা বাড়াতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জীবনযাপন সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে।

জ. গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধানে:

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম, বিশেষত ইন্টারনেট, গবেষণার জন্য অপরিহার্য। শিক্ষার্থীরা অনলাইন লাইব্রেরি, জার্নাল, একাডেমিক ডেটাবেস এবং গবেষকদের প্রোফাইল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এটি তাদের গবেষণার কাজকে সহজতর করে এবং সঠিক তথ্যের উৎসে পৌঁছাতে সহায়তা করে।


গণমাধ্যমের নেতিবাচক দিক ও চ্যালেঞ্জসমূহ:

গণমাধ্যমের এত সুবিধার পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক দিক এবং চ্যালেঞ্জও রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে:

ক. ভুল তথ্য ও গুজবের প্রসার:

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, প্রায়শই ভুল তথ্য (misinformation) বা গুজব (disinformation) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে সঠিক তথ্য যাচাই করা কঠিন হতে পারে, যা তাদের বিভ্রান্ত করতে পারে এবং ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে।


খ. আসক্তি ও মনোযোগের অভাব:

গণমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার, বিশেষ করে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় কমিয়ে দেয় এবং মনোযোগ নষ্ট করে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।


গ. তথ্যের প্রাচুর্য ও বিভ্রান্তি:

ইন্টারনেটে তথ্যের অবাধ প্রবাহ শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ হলেও, এটি অনেক সময় তাদের বিভ্রান্ত করে তোলে। কোন তথ্যটি নির্ভরযোগ্য এবং কোনটি নয়, তা নির্ধারণ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের পরিবর্তে অপ্রয়োজনীয় তথ্যের ভিড়ে হারিয়ে যেতে পারে।


ঘ. ডিজিটাল বিভাজন:

গণমাধ্যমের সুবিধাগুলো সব শিক্ষার্থীর জন্য সমানভাবে সহজলভ্য নয়। দরিদ্র পরিবার বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সুবিধা বা প্রয়োজনীয় গ্যাজেট থেকে বঞ্চিত হতে পারে, যা তাদের আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হতে বাধা দেয়। এটি 'ডিজিটাল বিভাজন' তৈরি করে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ায়।


ঙ. সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তা ঝুঁকি:

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীরা সাইবার বুলিং, হয়রানি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির শিকার হতে পারে। পরিচয় চুরি, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস এবং অনুপযুক্ত কন্টেন্টের সংস্পর্শে আসা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


চ. বাণিজ্যিকীকরণ ও মনোযোগ বিঘ্নিতকরণ:

অনেক অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ্লিকেশনে বিজ্ঞাপনের আধিক্য থাকে, যা শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিঘ্নিত করে। কখনও কখনও এই বিজ্ঞাপনগুলো অনুপযুক্ত বা বিভ্রান্তিকরও হতে পারে।

করণীয়:

শিক্ষার্থীদের জীবনে গণমাধ্যমের ইতিবাচক প্রভাবকে কাজে লাগাতে এবং নেতিবাচক প্রভাবগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

*   সচেতন ব্যবহার: শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ও সচেতন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তাদের বোঝাতে হবে কখন, কতক্ষণ এবং কোন উদ্দেশ্যে গণমাধ্যম ব্যবহার করা উচিত।

*   ডিজিটাল সাক্ষরতা: শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সাক্ষরতা (Digital Literacy) শিক্ষা প্রদান করতে হবে। এর মাধ্যমে তারা অনলাইনে সঠিক তথ্য যাচাই করতে, ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সাইবার ঝুঁকির বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করতে শিখবে।

*   শিক্ষামূলক কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার: সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে মানসম্মত, সৃজনশীল এবং শিক্ষার্থীদের উপযোগী শিক্ষামূলক কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারে জোর দিতে হবে। টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আরও বেশি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা উচিত।

*   অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা: অভিভাবক ও শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যম ব্যবহারের ওপর নজরদারি রাখতে হবে এবং তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করতে হবে। তাদের অনলাইন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত থাকা এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং প্রদান করা উচিত।

*   নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ: গণমাধ্যম ব্যবহারের জন্য সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা উচিত, বিশেষ করে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ভুল তথ্য ও গুজবের প্রচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

*   অবকাঠামোগত উন্নয়ন: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট ও অন্যান্য গণমাধ্যম সুবিধা সহজলভ্য করা উচিত, যাতে কোনো শিক্ষার্থীই ডিজিটাল বিভাজনের কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।


উপসংহার:

শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা আজ তর্কাতীত। এটি শুধু জ্ঞান বিতরণের একটি মাধ্যম নয়, বরং শিক্ষার্থীদেরকে একটি বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক শক্তিশালী অনুঘটক। গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন জ্ঞান অর্জন করছে, দক্ষতা বাড়াচ্ছে এবং বিশ্বকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পাচ্ছে। তবে, এর অপব্যবহার বা ভুল ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলোও উপেক্ষা করার মতো নয়।


গণমাধ্যমের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এর ইতিবাচক দিকগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে এবং নেতিবাচক দিকগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শিক্ষক, অভিভাবক, সরকার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং শিক্ষামূলক ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে। আমরা যদি গণমাধ্যমকে সঠিক পথে চালিত করতে পারি, তবে এটি নিশ্চিতভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও জ্ঞানভিত্তিক, সচেতন এবং দায়িত্বশীল করে তুলবে, যা একটি উন্নত ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।